>Phaco surgery
ছানিপড়া (Cataract)
সাধারণতাঃ বার্ধক্যজনিত কারণে মানুষের চোখের লেন্স স্বচ্ছতা হারিয়ে ফেলে। এই অবস্থাকে ছানি পড়া বলে। বার্ধক্য ছাড়াও আঘাত, প্রদাহ, ডায়াবেটিস অথবা জন্মগত কারণে অল্প বয়সেও ছানি পড়তে পারে।
প্রতিকার
’অপারেশ’ই ছানির একমাত্র চিকিৎসা, ঔষধ বা অন্য কিছুর দ্বারা ছানি প্রতিরোধ বা প্রতিকার সম্ভব নয়। অপারেশনের মাধ্যমে নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক লেন্স সরিয়ে ফেলে সেখানে একটি কৃত্রিম লেন্স সংযোজন করে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
ফ্যাকো সার্জারী’
ছানি অপারেশনের সর্বাধুনিক এই পদ্ধতিতে আলট্রাসাউন্ড ওয়েভের মাধ্যমে প্রাকৃতিক লেন্সকে গলিয়ে (Emulsification) বের করে আনা হয় এবং ভাঁজ করা সম্ভব (Fodable) এমন কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করা হয়।
* এই অপারেশন সেলাইবিহীন। সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত ও নিরাপদ।
* অপারেশনের সময় রোগী স্বজ্ঞান থাকেন এবং অপারেশনের পর দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থানের প্রয়োজন ও হয় না।
* ’ফ্যাকো সার্জারী’ করতে চাইলে ছানি পাকা (Mature) হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই বরং ছানি বেশী পাকার আগেই অপারেশন করা ভালো।
ছানির সুচিকিৎসা না হলে অতিরিক্ত পাকা ছানি (Hypermature Cataract) পরবর্তীতে গ্লকোমা রোগের জন্ম দিতে পারে। গ্লকোমা হলে দৃষ্টি শক্তির স্থায়ী ক্ষতি হয়। তখন অপারেশন করলে আশানুরূপ ফল নাও পাওয়া যেতে পারে।
>Phaco surgery with LenSX Femto Laser
>Trabeculectomy with MMC
গ্লকোমা
গ্লকোমা রোগ চোখের এক নিরব ঘাতক, এই রোগে সাধারণত চোখের চাপ বৃদ্ধি পায়, ফলে চোখের স্নায়ু শুকিয়ে যায়। চাপ বৃদ্ধি পাওয়া চাড়াও গ্লকোমা হতে পারে। গ্লকোমা রোগে চোখের দৃষ্টি শক্তির স্থায়ী ক্ষতি হয় যা কোনভাবেই ফিরিয়ে আনা সম্বব নয়। সাধারণত শতকরা ৫০ভাগ দৃষ্টিশক্তি কমার আগে রোগী নিজে বুঝতে পারেন না। তাই নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো দরকার। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ অব্যাহত রাখলে অনিবার্য অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মনে রাকতে হবে ’গ্লকোমা’ রোগ-ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রোগের মতই অনিরাময়যোগ্য কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ।
প্রতিকার
রোগের অবস্থা Statusঅনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ অথবা গ্লকোমা অপারেশন Trabeculectomyকরতে হয়। প্রয়োজনে অপারেশন ও ঔষধ দুটোই চলতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে Laser এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
>All Vitreo-Retina Surgical facilities
>Squint Surgery
ট্যারা চোখ
বিভিন্ন কারণে চোখ ট্যারা হতে পারে। যে কোন বয়সেই হোক ট্যারা বুঝতে পারার সাথে সাথেই চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। শিশুদের চোখ ট্যারা অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকলে ট্যারা চোখের দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে কমে যায়। চশমা ব্যবহার করে অথবা প্রয়োজনে অপারেশন করে ট্যারা Squint ঠিক করা যায় এবং দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি করা সম্ভব, তবে তা করতে হবে শিশু বয়সেই। বেশী বয়স পর্যন্ত দেরী করলে চিকিৎসা করার পরও ভালো ফল পাওয়া কঠিন।
>Pterygium Surgery
টেরিজিয়াম (Pterygium)
এই রোগে চোখের উপর একটি পর্দা তৈরী হয়। সাধারণত চোখ লাল দেখায়। এই পর্দা চোখের সাদা অংশের উপর দিয়ে বাড়তে বাড়তে এক সময় কর্ণিয়ার উপর চলে আসে এবং কর্ণিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট করে দেয়। একেই টেরিজিয়াম বলে। টেরিজিয়াম ক্রমবর্ধমানশীল হতে থাকলে তা অপারেশন করে ফেলা উচিত।
>Oculoplastic Surgery
>Corneal Surgical facilities
>DCR
>LASIK facilities